ব্যস্ত জীবনধারার মধ্যে থাকায় আজকাল আমরা নিজেদের জন্য সময় পাই না বললেই চলে। অত্যধিক পরিশ্রম এবং অল্প বিশ্রামের জন্য অনেকেরই দিনের শেষে চরম ক্লান্তির অনুভূতি হয়। আবার দৈনন্দিন জীবনের এই ধরনের রুটিন অনেক সময় আমাদের দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি আনে। যা দীর্ঘদিন চলতে থাকলে চিরস্থায়ী বলে মনে হয় এবং ক্লান্তিভাব কাটিয়ে ওঠা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে সবসময় যে শারীরিক কারণেই ক্লান্ত লাগে এমনটা নয়, মানসিকভাবে চাঙ্গা থাকাও জরুরি। দেখে নেওয়া যাক কোন পাঁচ উপায়ে মনকেও চাঙ্গা রাখা যায়। আরও পড়ুনঃ লিচুতে যত উপকার ও যত পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
ঘুমের মান
আট থেকে দশ ঘন্টা ঘুমোলে হয় তো শারীরিকভাবে সুস্থ থাকা যায়, কিন্তু পরের দিন সতেজ থাকতে কতক্ষণ ঘুম হল তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল কতটা ভাল করে ঘুম হচ্ছে। নিরবিচ্ছিন্ন সুন্দরভাবে ঘুমালে পরের দিন সতেজ হয়ে ঘুম থেকে ওঠা যায়। তাই ঘুমের মানের দিকে খেয়াল রাখতে হবে এবং বিছানায় যাওয়ার আধ ঘন্টা আগে ল্যাপটপ, মোবাইল, টিভি-র স্ক্রিনের থেকে দূরে থাকার মতো পদ্ধতির মাধ্যমে ঘুমের মানের উন্নতি করতে চেষ্টা করতে হবে।
নিজের সঙ্গে সময়
যাঁরা খুব খোলামেলাভাবে মেশেন তাঁরা যেমন সামাজিক আলাপচারিতা থেকে এনার্জি পান, তেমনই চাপা স্বভাবের মানুষেরা এই ধরনের সামাজিক মেলামেশায় আসলে নিজেদের মনের কথা তুলে ধরতে পারেন না। তাই হারানো এনার্জি ফিরে পেতে প্রত্যেকের নিজের সঙ্গে সময় কাটানো উচিত।
দুশ্চিন্তা মুক্তি
আমাদের দ্রুততার জীবনধারায় আরও একটি বিষয় সবসময় দেখা যায়, তা হল মানসিক চাপ। অতিরিক্ত পরিমাণে স্ট্রেস অনেক মানসিক জটিলতার দিকে নিয়ে যেতে পারে যা থেকে সাইকো-সোমাটিক পরিণতি হতে পারে। আর এই ধরনের মানুষের মধ্যে দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি দেখা যায়। তাই ক্লান্তি কাটাতে নিজেকে মানসিক চাপমুক্ত রাখা খুবই জরুরি।
শখ মেনে চলা
কাজ যতই পছন্দের হোক না কেন, অত্যধিক কাজ সবসময়ই নিজেকে চাপের মধ্যে রাখে। আর পেশাগত কাজ মানেই নির্দিষ্ট সময়সীমা এবং অর্থের বিনিময়ে কাজ করতে হয়। সেক্ষেত্রে শুধু আনন্দের জন্য কিছু করলে সেটি মন এবং শরীরের উপর থেরাপিউটিক প্রভাব ফেলতে পারে। এটির মাধ্যমে নিজের সঙ্গে আরও ভালভাবে যোগাযোগ হয়। তাই সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের একটি শখের কাজ করার সময় বের করা উচিত।
ঘুরতে যাওয়া
সবসময় ক্লান্ত বোধ করার কারণ হতে পারে একঘেয়েমি, পরিবর্তনের অভাব এবং মানসিক চাপ। তাই এই সমস্যার সমাধানে প্রিয়জনের সঙ্গে বেড়াতে যাওয়ার জন্য সময় বের করতে হবে। দৃশ্যের পরিবর্তন মন এবং শরীরকে সমানভাবে সাহায্য করতে পারে। এছাড়া বেড়াতে গেলে একঘেয়েমি কেটে কাজে এনার্জি আসে।
Pingback: পেয়ারার পুষ্টিগুণ | Health Idea Bd
Pingback: গর্ভাবস্থায় যে চার ফল খেলেই ঘটবে মারাত্মক বিপদ! | Health Idea Bd